ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় - ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে এবংএছাড়াও ত্বক ফর্সা করার জন্য ডাক্তারি ক্রিম গুলো কি কি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা সকলেই চাই যে আমাদের চেহারার লাবণ্যতা পুতুলের মত হোক। আমরা সকলেই চাই। নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য আমরা সকলেই ক্ষতিকর ক্রিম ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু এই ক্ষতিকর ক্রিমগুলো আমাদের ত্বকের কতটা ক্ষতি করে তা হয়তো আপনার জানা থাকলে তা আর ব্যবহার করতেন না। তাই আজ আমি সেই সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে ত্বক স্থায়ী ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কিছু টিপস দিব। তাহলে চলুন মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়া শুরু করুন।

ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

রূপচর্চা শুধু মেয়েরাই করবে এমনটা কথা না। সকল ছেলেরাই চায় নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। সকলেই চাই একটি সুন্দর চেহারা। তাই ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়া উপায় জানা গুরুত্বপূর্ণ।ছেলেরা সারাদিন বাইরে অনেক ঘোরাঘুরি করার পরে ত্বকে অনেক ধুলোবালি পড়ে যায়।

যার ফলে দিনে দিনে ছেলেরা কালো হয়ে যায়। এছাড়াও বাইরের রোড তাপ থেকে তারা ত্বকের যত্ন নিতে পারে না ।এর থেকে পরিত্রাণ পেতে,সারাদিন দিন ৩ থেকে ৪ বার মুখে ঠান্ডা পানির ফুলকানি দিতে হবে অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঝাপটাতে হবে। সবথেকে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার মুখে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। 

এখন অনেক বাজারেই অনেক ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায় ।অর্থাৎ স্ক্রাব হলো বিভিন্ন ধরনের অয়েল, সাইট্রিক এসিড ইত্যাদি এগুলো ছেলেদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এগুলো ব্যবহারের ফলে ছেলেরা সহজেই ফর্সা চেহারার অধিকারী হতে পারবে। এছাড়াও এলোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী মুখের জন্য।
অ্যালোভেরা জেলেতে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পুরাতন ত্বককে সরিয়ে দিয়ে নতুন ত্বক তৈরি করে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। তাই আমরা স্থায়ী ভাবে ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতেই পারি। এটি ছেলেদের মুখের জন্য খুবই উপকারী।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমাদের সকলের মনের স্বাদ যেই স্থায়ী ফর্সা হব। আমরা সকলে স্থায়ী ফর্সা হতে চাই কিন্তু কেউ জানে না কিভাবে স্থায়ী এবং প্রাকৃতিক উপায় ফর্সা হওয়া যায়। মানুষের ত্বকের দুটি স্তর রয়েছে। বাইরের ত্বককে বহিঃত্বকে বলে এবং ভিতরের ত্বকে অন্ত ত্বক বলে। ত্বক ফর্সা কালো সবকিছু মানুষের জন্মগত ভাবে হয়ে থাকে। 
কিন্তু কেউ এর যত্ন করে এবং কেউ এর যত্ন করে না।যার ফলে এর ভিন্নতা দেখা যায়। তবে ত্বকে থাকে মেলানোসাইট এটি মোলানিন নামক এক ধরনের কালো পিগমেন্ট তৈরি করে। মেলানের মাত্রা আবার নির্ভর করে জাতিসত্তার উপর ,বংশগতির উপর এবং সূর্যালোকের উপস্থিতির উপর। 

ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকের রং কালো হয়ে যায়। এই কালো ত্বক এর প্রতি আমাদের যত্ন নিতে হবে। যার ফলে আমাদের ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হয়ে উঠতে পারে।

ত্বক ফর্সা করতে লেবুর ব্যবহার

ত্বকের জন্য লেবু ব্যবহার করা একটি কার্যকরী উপায়।লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। প্রথমে একটি অথবা এর অর্ধেক লেবুর নিন। তারপর লেবু থেকে রস গুলো বের করে সংগ্রহ করুন। তবে আমাদের অনেকের এলার্জির সমস্যা থাকতে পারে যার কারণে সরাসরি লেবুর ব্যবহার করা ঠিক হবে না। 

তাই যতটুকু লেবুর রস নেবেন ততটুকু পানি মিশ্রিত করে নিন ফলে লেবুর রস এবং পানিতে একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে পুরো শরীরটা তোকে লাগান এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন যার ফলে ত্বকের উপরের ধুলোবালি গুলো খুব সহজে উঠে যাবে এবং আপনার অনেকটাই উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার দেখাবে। 
এছাড়াও লেবু ব্যবহারের ফলে ত্বকের দাগ এবং ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায়। যার হলে কিছুদিনের মধ্যে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন। এছাড়াও লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যার কারণে মুখ পরিষ্কার করতে খুব ভালো কাজে আসে।যে কারণে তা মুখ পরিষ্কার করতে খুব ভাল কাজে আসে।

ঘরোয়া টোটকার মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হল মধু আর লেবু। ট্যান তোলা থেকে ফরসা হওয়া, ইন্টারনেটে সার্চ করলে প্রথমেই যে টোটকা আপনি পাবেন তা হল মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তা ত্বকে লাগানো। এই ভাবে আমরা প্রাকৃতিকভাবে ত্বক স্থায়ী ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানার মাধ্যমে আমাদের ত্বকের ফর্সা করতে পারে।

ত্বক ফর্সা করতে হলুদের ব্যবহার

আদিকাল থেকেই মানুষ ত্বকের জন্য হলুদের ব্যবহার করে আসছে। হলো ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান। হলুদে এমন এক ধরনের উপাদান থাকে যা আমাদের ত্বকের উতলাতে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হলুদ ব্যবহারের ফলে তোকে লাবণ্যতা ফিরে আসে। তাই হলুদ কে আমাদের তুচ্ছ করলে চলবে না। 
হলুদের সঙ্গে মধু, হলুদের সঙ্গে টক দই, হলুদের সঙ্গে আঙ্গুর, হলুদের সঙ্গে দুধ ইত্যাদি ব্যবহার করে আমরা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি। তাই তো এখনো বিয়ের সময় হলুদের ব্যবহার বাদ যায় না। কারণ সকলে জানে, হলুদের একটি প্রাকৃতিক ফল। যেটির মাধ্যমে আমাদের ত্বক অনেক গুণ ফর্সা হয়। তাহলে চলুন হলুদের ব্যবহারগুলো জেনে নেওয়া যাক।-

  • দুই চামচ হলুদের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  • আপনি চাইলে এতে এক চামচ মধুও যোগ করতে পারেন।
  • এবার এই পেস্টটি ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান।
  • মনে রাখবেন এই পেস্ট মুখে লাগানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • এবার পেস্টটি সারা রাত মুখে লাগিয়ে রাখুন।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের যত্নে দুধের ব্যবহার

পাঞ্চাল জানান, কাঁচা দুধে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বক এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। হলুদের সাথে: হলুদ ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এতে আছে প্রদাহনাশক উপাদান ও ত্বক উজ্জ্বল করার গুণাগুণ। মধু ও দুধ: এই দুই উপাদান ত্বক খুব ভালো মতো পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। 

তাহলে চলুন দুধের ব্যবহারগুলো জেনে নেওয়া যাক।-
  • ত্বকের যত্নে সবসময় সেরা দুধ।
  • মুখে সবসময় কাঁচা দুধই ব্যবহার করতে হয়।
  • কাঁচা দুধের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  • ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলার ক্ষেত্রে দুধের জুড়ি মেলা ভার।
  • ত্বকের প্রদাহ কমাতে কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মাখুন।

ত্বকের যত্নে দইয়ের ব্যবহার

নিয়মিত দই ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এক টেবিল-চামচ টক দইয়ের সাথে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। শুকানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রাকৃতিক ফেইস মাস্ক ত্বক আর্দ্র রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। যেমন-
  • প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে
  • প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে
  • মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে
  • ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে
  • ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না
  • মুখের জেল্লা ফিরিয়ে আনে
  • সানবার্ন কমায়
  • ত্বকের কালো দাগ-ছোপ ওঠাতে সাহায্য করে

ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার

  • তৈলাক্তভাব কমায় তৈলাক্ত ত্বকের চিটচিটেভাব কমাতে ও ত্বককে সুস্থ রাখতে টমেটো ব্যবহার করা উপকারী।
  • আর্দ্রতা ধরে রাখে টমেটো ত্বকের তৈলাক্তভাব কমায় মানে এই নয় যে, এটা ত্বক শুষ্ক করে ফেলে।
  • মৃত কোষ দূর করে ।
  • ব্রণ কমায় ।
  • ত্বকের জ্বালা পোড়া কমানো ।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • বয়সের ছাপ কমায় ।
  • লোমকুপ টানটান করে।

ত্বকের যত্নে বেসনের ব্যবহার

বেসন ত্বক সম্পর্কিত অনেক সমস্যা যেমন শুষ্ক- প্রাণহীন ত্বক, কালো দাগ, ব্রণ এবং দাগ দূর করতে উপকারি। এছাড়া মুখের ছোট ছোট লোম দূর করতেও এটি কার্যকরী। বেসন একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব, যা ত্বক থেকে মরা চামড়া পরিষ্কার করতে পারে। 
আপনার শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে, আপনি বডি ওয়াশ হিসেবে বেসন ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক স্থায়ী ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় গুলো যারা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ৩ চা চামচ বেসন। 

তারপর বেসনের সাথে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ অথবা ২ চা চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমানোর সাথে সাথে ত্বকের ময়লা দূর করে। বেসনের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারগুলো হলো।-
  • বেসন আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • বেসনের ফেসপ্যাক মুখে লাগানোর পর রিল্যাক্স করুন।
  • সপ্তাহে অন্তত ১ দিন ব্যবহার করতে হবে এই ফেসপ্যাক।
  • বেসনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
  • এরপর টোনার এবং ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।

ত্বক ফর্সা করার জন্য ডাক্তারি ক্রিম গুলো কি কি

  • Lotus Herbal Night Cream
  • Himalaya Revitalizing Night Cream.
  • Olay Natural White Beauty All In One Fairness Cream.
  • Super Viga Spray.
  • Lotus Herbal Night Cream.
  • Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream.
  • Olay Natural White Night Cream.

লেখকের মন্তব্য: ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ কথা

সম্মানিত পাঠক,দুধ, লেবুর রস ও হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। 
গরম পানিতে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। 

সব সময় সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এভাবে আমরা প্রাকৃতভাবে ত্বক স্থায়ী ফর্সা করতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১