নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে খুঁজার উপায়-নিজের প্রতিভাকে জাগানোর উপায়

আমরা সকলেই প্রতিভাবান ব্যক্তি। আমাদের সকলের মধ্যেই কোনো না কোনো প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। আপনি যদি না জানেন নিজের মধ্যে কোন প্রতিভার লুকিয়ে আছে তাহলে আপনি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না। তাহলে চলুন নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে খুঁজার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে খুঁজার উপায়
আপনি যদি নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতি খোঁজার চেষ্টা করেন এবং এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে চান তাহলে আজকে এই আর্টিকেলটিতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে খোঁজার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

নিজের দক্ষতা ও দুর্বলতাকে জানতে হবে

আপনি হয়তো শুনেছেন প্রতিটা ব্যক্তির মধ্যে কোন না কোন স্পেশালিস্ট গুণ রয়েছে। যদি সেই ব্যক্তি যদি তার সেই গুণটাকে জানতে পেরে যায় এবং যদি সে সেই স্পেশালিস্ট কোয়ালিটির উপর কাজ করে যায় তাহলে তাকে জীবনের রেসে কেউ কোনদিন হারাতে পারবে না। সেই ব্যক্তিটি এই পৃথিবীর স্টার হয়ে যাবে। 

রোহেলিকা কমিউনিটিতে এমন অনেক বন্ধু রয়েছে যারা বলে আমি লাইফে করতে চাই অনেক কিছু কিন্তু বুঝতেই পারছি না যে কি করব ।তারা পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত আছে ঠিকই কিন্তু তারা জানতেই পারছে না বা বুঝতেই পারছেনা তাদের মধ্যে কোন স্পেশালিস্ট রয়েছে।তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকার ট্যালেন্টে আমরা খুঁজে বের করব। 
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমাদের সামনে দুটি জিনিস রয়েছে একটি হল প্যাশন (Passion) এবং অপরটি হল প্রফেশন(Profession) । জরুরী নয় যে কোন ব্যক্তির কাছে প্যাশন এবং প্রফেশন একই হবে। উদাহরণের জন্য বলতে হচ্ছে-মনে করেন আপনি গান গাইতে ভালবাসেন এবং আপনি গান গাওয়াতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান এইটা হল আপনার প্যাশন (Passion) ।

এবার আপনি হতে তো চান সিঙ্গার বটে কিন্তু বাধ্য হয়ে আপনি অফিসের কোন কাজ করছেন বা হয়তো অন্য কোন কাজ করছেন। এটি হলো আপনার প্রফেশন। আপনার ভিতরে লুকিয়ে থাকা ট্যালেন্টকে খোঁজার জন্য দুটি বিষয় আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে। বিষয়গুলো হলো-
  • INTEREST
  • CONSISTENCY
অর্থাৎ যদি আপনি ইন্টারেস্ট এর কাজটি করেন এবং সেটি করতে করতে যদি আপনার ভারী লস হয়ে যায় তবুও কি আপনি সেই কাজটিকে নিয়মিত করতে চাইবেন? যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী আপনার বিপক্ষে হয়ে যায় তবুও কি আপনার সেই কাজটি করবেন? আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন কিছুই গড গিফটেড হয় না।লোকে বলে সে তো গড গিফটেড।

তার গলার আওয়াজ তো ছোটবেলা থেকে সুন্দর তাই সে সিঙ্গার হয়েছে কিন্তু ভাই সিঙ্গিং এর উপর সে কাজ করেছে যে কঠোর একটা পরিশ্রম করেছে তাই সে সিঙ্গার হতে পেরেছে। যদি আপনিও নিজের ভয়েসের উপর কাজ করতেন তাহলে আপনারও ভয়েস এরকম হতো আপনিও সিঙ্গার হতে পারতেন।
একজন (Iternational) মানের ফুটবল প্লেয়ার সে যদি গড গিফট হতো তাহলে তো ফুটবল মাঠে তার অনুশীলন করার প্রয়োজনই নেই ।তাহলে কেন সে ফুটবল মাঠে অনুসরণ করে? সরাসরি ম্যাচ খেলতে যেত দশটি গোল দিয়ে বাসায় চলে আসতো। হবে কি কোনদিন এমন? হবে না। 

পৃথিবীর সব থেকে ভালো ফুটবল খেলোয়াড় সব থেকে ভাল এই জন্যেই কারণ তার প্র্যাকটিসও সব থেকে ভালো ।তাই আমি বলি ,এই কথাগুলোকে মন থেকে সরিয়ে দিন যে ট্যালেন্ট বা ফ্যাশন এগুলো গড গিফটেড হয়।

চেষ্টার উপর নিজেকে কিভাবে গড়তে হবে(TRY)

TRY করা অর্থাৎ চেষ্টা করে দেখা। অর্থাৎ আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের ট্যালেন্টকে খুঁজে পাবেন না, নিজের প্যাশানকে আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত ফলো করতে পারবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজে জানবেন না যে সেই (Feel) টি কেমন? আলাদা আলাদা ফিল কে ট্রাই করে দেখতে হবে।চেষ্টার পর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। 

তারপর কি হবে আপনি জানেন আপনি জীবনের সেই ফিল্ডগুলোর মধ্যে থেকেই একটি কে পছন্দ করবেন যেটা আপনি জানেন। তো আপনি যদি লাইফে যে কোন ফ্রেন্ড সম্পর্কে নলেজ না থাকে তাহলে আপনি কি করে বুঝবেন কোন ফিল্ডে আপনি এক্সপার্ট আর কোনটিকে এক্সপার্ট নন।
ভারত বা বাংলাদেশের অধিকাংশ বাচ্চাদের যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন যে তুমি বড় হয়ে কি হবে তারা অধিকাংশ জনাই বলবে ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক এবং সরকারি চাকরিজীবী। তারা এটা কেন বলে জানেন তারা ছোট থেকে দেখে আসছে । তার মস্তিষ্কে আর অন্য কোন বিষয় নেই তাই সে এই চারটার মধ্যে পছন্দ করেছে। 

আর যদি অন্য কোন বিষয় থাকতো তাহলে সে অন্য কোন কথা বলতে হয়তো। তাহলে আপনি বলুন অল্প কয়েকটি জ্ঞানের মধ্যে সীমিত থাকার ফলে সে নিজের চাপিয়ে ফেলছে। এই পৃথিবীতে কেবলমাত্র চার পাঁচটি ফিল্ড বা লক্ষ্য নেই, বরং হাজার হাজার ফিল্ড রয়েছে যেগুলোর মধ্যে আপনাকে যেকোনো একটি পছন্দ করে নিতে হবে এবং তার প্রতি পুরো ফোকাসটা দিতে হবে।

যখন আপনি বাজারে যান তখন কি একটি টি-শার্টে বা একটি পোশাকি দেখেন নাকি দেখে দেখে কিনেন?অবশ্যই আপনি দেখে দেখে কিনেন। দশটি দেখার পর আপনি নিজেই ডিসাইড করেন যে আপনি নিবেন তাহলে নিজের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে এমন কেন হয় নিজের জীবনের লক্ষ্য নিজে কেন ঠিক করতে পারেন না। এটির কারণ হলো আমাদের জ্ঞানের দুর্বলতা।

নিজের প্রতিভার যত্ন নেওয়ার উপায়

চিন্তা করে দেখো,পৃথিবী তে আমরা যাদের সাকসেসফুল হিসেবে চিনি,তাদের খুব কম সংখ্যক মানুষ বিউটি স্ট্যান্ডার্ড এ ফিট করে।তারা তাদের আইডিয়া,ভিশন,গোল দিয়েই পরিচিতি লাভ করেছে।এবং তাদের ভিশন,গোল এর মাধ্যমে আমরা তাদের চিনতে পেরেছি। তার বিনা পরিশ্রমে এতদূর আসতে পারেনি। 
তাদের এই সাকসেসের পিছনে একটা মহৎ স্টরে রয়েছে। তারা অনেক পরিশ্রমের ফলে আজকের ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে পেরেছে। তাদের দিকে তাদের জীবনী লক্ষ্য করলে অনেক কিছুই লক্ষ্য করা যায়।তোমার মধ্যকার আমি কে জানতে চেষ্টা কর।এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর এর উপর বেইজ করে নিজেকে ডিফাইন করার চেষ্টা থেকে সরে আসতে পারো।

তোমার বাহ্যিক সৌন্দর্য তোমার পারিপার্শ্বিকতা কে যতটা প্রভাবিত করে,তোমার সুন্দর চিন্তা,ভিশন তার থেকে অনেক গুন বেশি প্রভাবিত করে।

লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে খুঁজার উপায় এবং চেষ্টার উপরে নিজেকে কিভাবে গড়তে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।সেহেতু এ সম্পর্কে আপনাদের অবশ্যই পণ্য ধারণা অর্জন করতে হবে। আশা করা যায় আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সম্পূর্ণটা ভুলে গিয়েছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১