গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়

 পানি কম খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে! বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়

দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরে দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণ না হলে হাজারও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।কিডনি ও লিভারে দেখা দেয় একাধিক রোগ। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমাদের নিয়ম মেনে প্রতিদিন পর্যন্ত বলে মানে পানি পান করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়

একজন গর্ভধারিণী মা যদি গর্ভাবস্থায় পানি কম খায় তাহলে তার জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পেটের সন্তানের জন্য খুবই বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কম পানি পান করার কারণে পেটের মধ্যে বাচ্চা সঠিকভাবে নড়াচড়া করতে পারে না। যার ফলে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

এছাড়াও গর্ভধারী মায়েরা কম পানি পান করার কারণে তাদের হজমের সমস্যা হয় যার ফলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাহলে সেটি অনেক ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারে। 

পানির পান করার ফলে আমাদের শরীরের প্রায় ৯০ ভাগ রোগ জীবাণু এবং বজ্র পদার্থ বের হয়ে যায় মুত্রের মাধ্যমে। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে গর্ব অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার। যার ফলে আমরা নিজের এবং গর্ভের বাচ্চার সঠিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারবো।

মনোযোগ কমে যায়

পানি হল অত্যন্ত মূল্যবান একটি বস্তু। এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কিছু কিছু সময় শরীরের পানে পানি কম খেলে বা পানি শূন্যতা হলে আমাদের মন বা মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে। অনেক বছর গবেষণা করার ফলে এক মার্কিন গবেষণায় জানা গেছে, উদ্বেগ ও ক্লান্তির অনুভূতি, স্মৃতির সমস্যা, ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে বাধা ইত্যাদি বেড়ে যায় পানি কম খাওয়ার ফলে। 
আমাদের শরীরে যখন পানির ঘাটতে দেখা যায় তখন আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের রক্তনালী কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যার প্রভাব সরাসরি মস্তিষ্কে এবং আমাদের শরীরে এসে পড়ে। যার ফলে আমাদের মনোযোগ অনেকটাই আগের তুলনায় কমে যায়।

মস্তিষ্কের রোগ হয়

আমাদের দেহের বেশিরভাগ পানি। পানির মাধ্যমে দেহের বজ্র পদার্থ নিষ্কাশন হয়। তাই পর্যাপ্ত পানি খেলে শরীরের পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে কঠিন কোন কাজ করার আগে ও পরে যেমন-ব্যায়াম করার আগে ও পরে পানি পান করলে আমাদের শরীর অনেক হালকা লাগে। 

যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে প্রমাণ করেছে যে বেশিক্ষণ ধরে পানি না খাওয়ার কারণে বা না খেয়ে থাকার কারণে আমাদের ভালোলাগার পরিমাণটা হ্রাস পায়, হতাশাগ্রস্ততা বৃদ্ধি পায়, স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের রোগ চিহ্নিত করে। তাই আমাদের নিয়ম মেনে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

মাথা ব্যথা হয়

মাথা ব্যাথা হলো খুব সাধারণ একটি রোগ। যা প্রতিনিয়ত আমাদের সকলের মাঝে ঘটেই থাকে। কিন্তু কেন ঘটে? তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? তাহলে চলুন এই নিয়ে জেনে নেয়া যাক।-প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন সময় যে কোন কারণে মাথাব্যথায় ভোগে থাকেন বা মাথা ব্যথার কবলে পড়েন।
মাথা ব্যাথা হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে এই কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে-পানি কম খাওয়া বা পানি না খাওয়া। আমরা অনেক সময় বাইরে ঘুরতে বের হয়ে যায় এই সময় আমরা পানি খাওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম পানি খেয়ে থাকে যেমন -প্রাণ-আপ, সফট ড্রিংকস, কোকাকোলা, কফি এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদানগুলো আমরা খেয়ে থাকি পানির পরিবর্তে।

যার ফলে আমাদের মাথাব্যথা হয়ে থাকে। পানি খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট লিমিট বা সীমা রয়েছে -পরপর দুই থেকে তিন গ্লাস পানি খেতে হবে এবং সারা দিনে আমাদের কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খাওয়া উচিত।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস হয়

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অথবা পানি শূন্যতা দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয়ে থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করার ফলে অনেকেই এই রোগের সম্মুখীন হয়। নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পানি পানি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

অনেক সময় আমাদের বয়স বৃদ্ধি ও হঠাৎ খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ দেখা দিতে পারে এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ দেখা দেওয়ার মূল কারণ হলো পানি কম খাওয়া। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পানিযুক্ত খাবার খাওয়া বা বেশি বেশি পানি পান করার মাধ্যমে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগকে মোকাবেলা করতে পারি। 

পানি যুক্ত খাবার যেমন-বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়া, খাওয়া এবং শরবত তরল খাবার খাওয়া। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম এবং হাঁটাচলার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস প্রতিরোধ করা যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস না থাকলে কোষ্ঠকাঠির রোগ হয়ে থাকে এমনকি পানি পান না করে থাকার ফলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

তাই আমাদের হজমের জন্য পানি খুবই জরুরী। আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি কম খেলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা

আমাদের শরীরে বেশকিছু রাসায়নিক পদার্থ ওখনিজ -লবণ রয়েছে। এগুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরের বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করার জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এগুলোকে বলা হয় ইলেকট্রোলাইট। মানবদেহের প্রধান ইলেকট্রোলাইট হলো পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। 
এগুলো আমাদের শরীরের ভারসাম্যতা বজায় রাখে এবং বেশি সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে অনেক সময় পানির ঘাটতি দেখা যায়। শরীরে পানি ঘাটতে দেখা দিলে এই ইলেকট্রোলাইটগুলো ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। কাজ করা বন্ধ করে দেয় এর ফলে বেশি দুর্বলতা, অনিয়মিত হৃদয় স্পন্দন ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। 

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যার ফলে আমরা নিজের শরীর এবং মনকে সুন্দর ও সতেজ রাখতে পারব।

হজমের সমস্যা

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের হজমজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের হজম জনিত সমস্যা মুক্তি পেতে অথবা বজায় রাখতে পানির এক বিশেষ অংশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরের পানের সমস্যা দেখা দিলে বা পানি শূন্যতা দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ দেখা দেয় ।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দিলে শরীরে হজমের সমস্যা হয়ে যায় এবং এই সমস্যা থেকে বদহজমের সৃষ্টি হয়। গ্যাস্ট্রিক এবং আলসারের মতো আরও বিভিন্ন ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যার ফলে আমরা নিজেদের সুস্থতা বজায় রাখতে পারবো।

ইমিউন ফাংশন

আপনার ইমিউন সিস্টেম হল জীবাণুর মত আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আপনার শরীরের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা। শরীরে ইমিউন ফাংশন ঠিক রাখা খুবই জরুরী। ইমিউন ফাংশন ঠিক রাখতে, সংক্রামণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাইড্রেশন বা শক্তির প্রয়োজন। ডিহাইড্রেশন ইমিউন কোষগুলোকে গ্রাস করে এবং শরীরে ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখে।

ইমিউন সিস্টেম এটি আপনাকে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং আপনি যখন অসুস্থতা বা আহত হন তখন আপনার রোগ নিরাময়কে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার ফলে এই ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হতে পারে। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কিডনি ও লিভারের রোগ হয়

বর্তমানে আমাদের দেশে কিডনি ও লিভার সংক্রান্ত রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের শরীর থেকে এক ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন বের হয় কিডনি ও লিভার দিয়ে এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করার ঘরে এগুলো প্রসবের মাধ্যমে বের হয়ে চলে যায় যার ফলে আমরা সুস্থ থাকি। অপরদিকে পানি কম খাওয়ার কারণে এই ক্ষতিকর টক্সিন অ্যাসিড গুলো বের হতে পারে না আমাদের শরীর থেকে।
যার ফলে কিডনি ও লিভারের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় কিডনিতে পাথর জমে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন গবেষণা করে বলেছেন-কিডনি এবং লিভার কে সুস্থ রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে আমরা নিজেকে সুস্থ রাখতে পারব।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া

প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা। আমাদের দেহের প্রায় ৭০ শতাংশ পানি। বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে পানির ভূমিকা অপরিহার্য। এই প্রসাবের মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায়। অপর্যাপ্ত পানি দেহের নানাবিধ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। প্রস্রাবের সংক্রামণ থেকে বাঁচতে হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের শরীর থেকে দূষিত ব্যাকটেরিয়া গুলোকে বের করে দেয় প্রসবের মাধ্যমে। তাই আমাদের প্রসবটাকে ঠিকমতো করতে হবে। 

আমরা যখনই দেখব আমাদের প্রসারে জ্বালাপাড়া তখনই আমাদের বেশি বেশি করে পানি পান করার প্রতি জোর দিতে হবে। তোর সাথে জ্বালাপোড়া সাধারণত যাদের হয় তারাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে না। তাই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে এই রোগের মোকাবেলা করতে পারব।

ক্লান্তি অনুভূত হয়

ক্লান্তি আমাদের নিত্যদিনের সংলাপ। ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ যেমন গ্রহণ করতে হবে তেমনি পানের ভূমিকা ও কিন্তু কম নয়। আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে পানের অভাব দেখা দেয় তখন আমাদের মাথায় একটা চাপ অনুভূত হয় যার ফলে আমাদের চোখের সমস্যা না থাকার পরেও মাথা ব্যাথা হতে পারে। 

তখন আমাদের বুঝে নিতে হবে আমাদের ওয়াটার থেরাপি প্রয়োজন। আমাদের শরীরে যখন পানির ঘাটতি দেখা দেবে তখন অল্প কোন কাজ করাতে আমাদের ক্লান্ত অনুভূত হবে। কোন কাজ না করে ক্লান্ত অনুভব ,অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি আমরা।

তাই এর থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে অবশ্যই কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এছাড়া আমাদের দৈনন্দিন আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। তাই নিজের শরীরকে সতেজ এবং নির্মূল রাখতে পানির ভূমিকা অপরিহার্য।

অল্পতেই অসুখ দেখা দেয়

আমাদের মধ্যে অনেক লোক থাকে যাদের অল্প কিছুতেই অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। আমরা অসুস্থ হলেই বা অসুস্থ অনুভব করলেই আমাদের অনেক ওষুধের প্রয়োজন হয়, কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই ওষুধগুলোকে পরিহার করে পানি পানের পরিমাণটাকে বাড়িয়ে দিতে হবে। 
যার ফলে একদিকে যেমন আমাদের শরীরের পানের ঘাটতি পূরণ হবে অন্যদিকে শরীর নির্মল ও সতেজ থাকবে। পানি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের টক্সিন ও ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে বের করে দেয়। টক্সিন ও ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীর থেকে বের হতে না পারলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করে। 

যদি বেশি পরিমাণে পানি পান করা হয় তাহলে এই উপাদানগুলো শীঘ্রই শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের অসুস্থতা ভয়ও কেটে যায়। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ক্ষুধা

আমাদের অনেক সময় কিছু খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আবার খোদা অনুভূত হয়। এরকম সমস্যা বুঝতে পারলে বা বারবার এমন সমস্যা দেখা দিলে আপনাদের অবশ্যই খুবই বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যার ফলে আমরা ক্ষুধার সমস্যাকে কাটিয়ে উঠতে পারবো।

পানিশূন্যতা

পানি কম খাওয়ার একটা বড় সমস্যা হলো পানি শূন্যতা। আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোক পানিশূন্যতায় ভুগে থাকেন। পানি শূন্যতা দেখা যায় বেশিরভাগ সময় শীতে। কারণ শীতের সময় আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয় না যার ফলে আমাদের বেশি পরিমাণে পিপাসাও লাগেনা ফলে আমরা পানি পান করা থেকে বিরত থাকে শীতের সময়।

যার কারণে অনেক সময় আমাদের পানি শূন্যতা দেখা যায়। পানি শূন্যতার বিভিন্ন ধরণের লক্ষণ রয়েছে যেমন-মুখ শুকিয়ে যায়, বারবার পিপাসা লাগে, মাথা ঘুরে, বিভ্রান্তি ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়। পানি শূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এর ফলে আমরা নিজের সুস্থতা রক্ষা করতে পারবো।

ত্বকের সমস্যা

কোম্পানি পান করার কারণে তার প্রভাবটা আমাদের ত্বকের উপরও পড়তে পারে এবং তা অবশ্যই পড়বে। পানির কম খেলে শরীরে যেসব ক্ষতি হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ত্বকের সমস্যা। তক মৃত হয়ে যেতে পারে এবং সেই সঙ্গে ত্বকের মধ্যে নানা ধরনের অসুখ দেখা যেতে পারে। তাই আমাদের তো ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য বা শেষ কথা

চিকিৎসাবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। তবে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের কঠিন কাজ করে থাকি এবং কষ্টকর কাজ করে থাকি যার ফলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানের ঘাটতি দেখা দেয়। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং প্রচুর পরিশ্রম করেন তাদের পানি একটু বেশি পান করতে হবে। 
আশা করা যায়, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে পানি কম খেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এরকম নিত্য নতুন সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য পেতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে আমন্ত্রণ রইল। তাই বন্ধুবান্ধবের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন এবং এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১